১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ০১:০০

শিরোনাম উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মির্জা ফখরুল Logo জুলাই সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছালো Logo শিক্ষা হচ্ছে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা: কাদের গনি চৌধুরী Logo ওয়ারেন্টভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে, হদিস নেই একজনের: সেনা সদর Logo শাহজালালে অবতরণের সময় চাকার সঙ্গে ঢুকে পড়ল শিয়াল Logo প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ Logo ১৬ অক্টোবর চারুকলার বকুলতলায় হবে শরৎ উৎসব Logo রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই গণভোটের সুযোগ আছে: বদিউল আলম Logo

পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে এনসিপির লংমার্চ

পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে এনসিপির লংমার্চ

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৯:৪৮

চাঁদাবাজি, দখলদারি, সিন্ডিকেট, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধার উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠ থেকে এই লংমার্চ শুরু হয়। নেতৃত্ব দেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লংমার্চে পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি উপজেলার শতাধিক নেতাকর্মী, জাতীয় নাগরিক যুব শক্তির প্রতিনিধিরা এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন। কয়েকটি পিকআপ ভ্যান ও ৫০০-রও বেশি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তাঁরা শহর ছাড়িয়ে একে একে কামাত কাজলদিঘী, হাড়িভাসা, অমরখানা, দেবনগর, বুড়াবুড়ি, শালবাহানসহ তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন অতিক্রম করে বাংলাবান্ধায় পৌঁছান।

লংমার্চ চলাকালে সারজিস আলম পিকআপের ওপর থেকে মাইকে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁর কণ্ঠে শোনা যায়— “চাঁদাবাজদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না”, “সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, পঞ্চগড়ে হবে না”, “মাদকের ঠিকানা, বাংলায় হবে না”। স্লোগানে স্লোগানে শহর ও গ্রামের রাস্তা ছিল মুখরিত।

লংমার্চে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের হাতে ছিল নানা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন, যাতে লেখা ছিল— “পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ চাই”, “পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে”, “দুর্নীতির বিচার চাই” ইত্যাদি।

মাঠ পর্যায়ের এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় ও বাংলাবান্ধা সিপাইপাড়া বাজারে দুটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন, “এই আন্দোলন কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়, এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে। পঞ্চগড়বাসী আর দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে থাকবে না।”

লংমার্চ শেষে সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে ফিরে এসে সারজিস আলম সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি জানান, “এই লংমার্চ ছিল প্রতীকী প্রতিবাদ। আগামীতে যদি মানুষের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন