১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ০১:০২

শিরোনাম উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মির্জা ফখরুল Logo জুলাই সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছালো Logo শিক্ষা হচ্ছে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা: কাদের গনি চৌধুরী Logo ওয়ারেন্টভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে, হদিস নেই একজনের: সেনা সদর Logo শাহজালালে অবতরণের সময় চাকার সঙ্গে ঢুকে পড়ল শিয়াল Logo প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ Logo ১৬ অক্টোবর চারুকলার বকুলতলায় হবে শরৎ উৎসব Logo রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই গণভোটের সুযোগ আছে: বদিউল আলম Logo

ওয়ারেন্টভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে, হদিস নেই একজনের: সেনা সদর

ওয়ারেন্টভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে, হদিস নেই একজনের: সেনা সদর

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৯:৫৬

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে চাকরিরত রয়েছেন এবং তারা সেনাবাহিনীর হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছে বাহিনী। তবে এদের একজন বর্তমানে এলপিআরে (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি) রয়েছেন এবং একজনের খোঁজ মিলছে না।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সেনাসদরে অফিসার্স মেসে এক আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

তিনি বলেন, “২৫ জন অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত। বাকি ১৫ জনের মধ্যে একজন এলপিআরে আছেন এবং একজন নিখোঁজ। অভিযুক্তদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনগত ব্যাখ্যা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির করতে হবে—আমরা আশা করছি এর আগেই প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা পেয়ে যাবো।”

ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আরও বলেন, “যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত হিসেবে গণ্য করা হয় কিনা, এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।”

তিনি জানান, “গত ৫৪ বছরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল ধরনের অপরাধ সেনা আইনে বিচার হয়েছে। সেনাবাহিনী আইনের বাইরে কাউকে রক্ষা করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাকিমুজ্জামান বলেন, “বর্তমানে যাঁরা হেফাজতে রয়েছেন, তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হবে কি না, তা নির্ভর করছে আইনি ব্যাখ্যার ওপর। বিষয়টি স্পষ্ট হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।”

ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর এই মুখপাত্র জানান, “গুম হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি সেনাবাহিনী সহানুভূতিশীল। আমরা মনে করি অভিযুক্ত কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন সময় অপরাধে জড়াননি। বিভিন্ন বাহিনীতে প্রেষণে থাকা অবস্থায় এসব অভিযোগ উঠেছে।”

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, “নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৩ থেকে ৪ ভাগ বাড়ানো হবে। আমরা নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ।”

আরও পড়ুন