১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ০১:০৩

শিরোনাম উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মির্জা ফখরুল Logo জুলাই সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছালো Logo শিক্ষা হচ্ছে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা: কাদের গনি চৌধুরী Logo ওয়ারেন্টভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে, হদিস নেই একজনের: সেনা সদর Logo শাহজালালে অবতরণের সময় চাকার সঙ্গে ঢুকে পড়ল শিয়াল Logo প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ Logo ১৬ অক্টোবর চারুকলার বকুলতলায় হবে শরৎ উৎসব Logo রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই গণভোটের সুযোগ আছে: বদিউল আলম Logo

জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ পণ্ড

জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ পণ্ড

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬:৩১

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার (১১ অক্টোবর) দলের কর্মী সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ার মাধ্যমে সমাবেশভাঙা অভিযান চালায়—এমন অভিযোগ জানিয়েছে জাতীয় পার্টি নেতৃত্ব ও কর্মীরা।

ঘটনার সময় ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বসিয়ে সমাবেশ শুরু হয়; সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ দলীয় একাধিক শীর্ষ নেতারা। খণ্ডখণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা এসে যোগ দিলে নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা পূর্বেই পুলিশকে অনুরোধ করে সুষ্ঠু সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলেন; তবু বারবার অনুরোধ উপেক্ষা করে পুলিশ অভিযান চালায় এবং সমাবেশের মধ্যেই আচমকা জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়। নেতাকর্মীরা দাবি করেন, এমন কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা ও নির্যাতনতুল্য।

অপরদিকে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম সংবাদকর্মীদের বলেন, “আমরা তাদের সমাবেশ করতে নিষেধ করেছিলাম। নিষেধাজ্ঞা ভেঙে তারা সমাবেশ শুরু করলে পরিস্থিতি অপ্রীতিকর হয়ে উঠতে পারত—সেজন্য তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ছিল পুলিশের উদ্দেশ্য।

ঘটনার পটভূমিতে ওই দিন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জরুরি সভা ডেকে আলোচনা করেন; সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ, দলীয় প্রতীক নিয়েও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ব্যস্ত আলোচনা হয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাজধানীর এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উভয় পক্ষের সংযম প্রয়োজন।

আরও পড়ুন