২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩:৫৯

শিরোনাম জিআই স্বীকৃতি পেল নেত্রকোনার ঐতিহ্যবাহী বালিশ মিষ্টি Logo পরিস্থিতির উন্নতি হলে সব ধরনের ভিসা চালু হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার Logo রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় এডিবির ৮৬.৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ-অনুদান Logo ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেছে দিল্লি: মির্জা ফখরুল Logo পল্লবীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত Logo নারীদের কর্মস্থলে সন্তান নেওয়ার আইনি অধিকার পাবেন Logo বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়া: ভূমি ব্যবস্থাপনায় সমঝোতা স্মারক সই Logo রাজধানীতে বিদ্যুস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু Logo

আন্দোলনের মুখে আইআইইউসি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

আন্দোলনের মুখে আইআইইউসি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২০:৪৩

চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা মুনির চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ। তারা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি জানালেও প্রশাসন তাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বরাতে জানা যায়, তারা রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে ১৫ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: লেট ফি সম্পূর্ণ বাতিল,প্রয়োজনীয় ল্যাব স্থাপন,হল রুমে না হয়ে সুনির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষে পাঠদান,প্রতিটি সেমিস্টারে ‘ইমপ্রুভমেন্ট’ পরীক্ষার সুযোগ,পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন,মেডিকেল সেবার উন্নয়ন।

মঙ্গলবার রাতের মধ্যে দাবিগুলোর বাস্তবায়নে একটি রোডম্যাপ দেয়ার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। যদিও কর্তৃপক্ষ একটি রোডম্যাপ প্রদান করে, তা প্রত্যাশা অনুযায়ী না হওয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বুধবার থেকে "কমপ্লিট শাটডাউন" ঘোষণা করেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সিয়াম এলাহি ও মিপ্তাউল ফেরদৌস বলেন, “আমরা স্পষ্ট ও সময়সীমা নির্ধারিত রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে দায়সারা একটি পরিকল্পনা দিয়েছে। আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না, কিন্তু শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আপসহীন।”

তারা আরও জানান, শাটডাউনের অংশ হিসেবে ক্লাস, পরীক্ষা ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, এবং শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসেই অবস্থান করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা মুনির চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ দাবি যৌক্তিক, কিন্তু তা বাস্তবায়নে কিছু সময় প্রয়োজন। আমরা একটি রোডম্যাপ দিয়েছি এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তা মেনে নিয়েছে। তবে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। বাইরের কিছু অছাত্রও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে বলে আমাদের ধারণা।”

প্রক্টর আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হবে।

আইআইইউসি দেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি শিক্ষার মান, অবকাঠামো ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছিল। এই আন্দোলন দেশের বেসরকারি উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে শিক্ষার্থী-প্রশাসন সম্পর্কের নতুন বাস্তবতা সামনে আনছে।

আরও পড়ুন