৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ০১:২০

শিরোনাম নির্বাচন নয়, এখন কাঠামোগত সংস্কারের সময়: প্রধান উপদেষ্টা Logo খাগড়াছড়ি ধর্ষণ-সহিংসতায় রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের উদ্বেগ, দ্রুত বিচারের দাবি Logo জিআই স্বীকৃতি পেল নেত্রকোনার ঐতিহ্যবাহী বালিশ মিষ্টি Logo পরিস্থিতির উন্নতি হলে সব ধরনের ভিসা চালু হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার Logo রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় এডিবির ৮৬.৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ-অনুদান Logo ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেছে দিল্লি: মির্জা ফখরুল Logo পল্লবীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত Logo নারীদের কর্মস্থলে সন্তান নেওয়ার আইনি অধিকার পাবেন Logo

জিআই স্বীকৃতি পেল নেত্রকোনার ঐতিহ্যবাহী বালিশ মিষ্টি

জিআই স্বীকৃতি পেল নেত্রকোনার ঐতিহ্যবাহী বালিশ মিষ্টি

প্রতিফলন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৩:২৪

নেত্রকোনার শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী বালিশ মিষ্টি দেশের ৫৮তম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) সম্প্রতি এ স্বীকৃতি দেয়। এতে গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত নেত্রকোনাবাসী।

প্রায় ১২০ বছর আগে বারহাট্টা রোড এলাকায় স্থানীয় মিষ্টান্নকার গয়ানাথ ঘোষ প্রথম বালিশ মিষ্টি তৈরি করেন। ছোট বালিশের মতো লম্বাটে ও তুলতুলে হওয়ায় মিষ্টিটির নামই হয়ে যায় ‘বালিশ’। দেশভাগের পরও গয়ানাথ ঘোষ নেত্রকোনাতেই থেকে যান। ১৯৬৯ সালে দোকানটি কুমুদ চন্দ্র নাগের কাছে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে তা বিক্রি হয় নিখিল মোদকের কাছে, তবে গয়ানাথ ঘোষের নামে দোকানের পরিচিতি অটুট থাকে।

মূল উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় দুধ, চিনি ও ছানা। ছানা ও ময়দা দিয়ে তৈরি মণ্ড চিনির রসে ভিজিয়ে মালাই প্রলেপ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। বালিশ মিষ্টি এখন ৩০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যদিও শুরুতে ছিল মাত্র ৫০ পয়সা।

বর্তমানে শহরের বিভিন্ন দোকানে এই মিষ্টি পাওয়া যায়, তবে গয়ানাথ ঘোষের নামেই থাকা আদি দোকানটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। দোকানের বর্তমান মালিক বাবুল মোদক বলেন, “জিআই স্বীকৃতি আমাদের জন্য গর্বের। মান বজায় রেখেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছি।”

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, “বালিশ মিষ্টির জিআই সনদ গ্রহণের জন্য আমরা প্রস্তুত। এটি নেত্রকোনার এক গর্বিত ঐতিহ্য।”

আরও পড়ুন