১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ২৩:৫৭

শিরোনাম প্রথমবার বাংলাদেশে আসছেন জাকির নায়েক Logo চট্টগ্রাম বন্দরসহ তিন টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরের হাতে দেওয়া হবে: নৌসচিব Logo শহীদ মিনারেই রাত কাটাবেন শিক্ষকরা, সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা Logo রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo 'মানবতাবিরোধী অপরাধে' অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের Logo ভোটার এলাকা পরিবর্তন করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শাপলা প্রতীকের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: সিইসি Logo ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৩ Logo

সৌদির পবিত্র নগরীতে বিশাল স্বর্ণের খনির সন্ধান!

সৌদির পবিত্র নগরীতে বিশাল স্বর্ণের খনির সন্ধান!

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ২১:২২

পবিত্র নগরী মক্কা অঞ্চলজুড়ে বিশাল এক সোনার খনি আবিষ্কার করেছে সৌদি আরব, যা দেশটির ইতিহাসে অন্যতম বড় খনিজ আবিষ্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মক্কার মানসুরা-মাসারাহ স্বর্ণখনির দক্ষিণাঞ্চলে সম্প্রতি পাওয়া এই নতুন খনি প্রায় ১২৫ কিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় খনিজ কোম্পানি মাআদেন জানিয়েছে, নতুন অনুসন্ধানে অন্তত ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে উচ্চমাত্রায় সোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষাগারে পাঠানো নমুনায় দেখা গেছে, প্রতি টন মাটিতে সর্বোচ্চ ২০.৬ গ্রাম সোনা রয়েছে—যা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ‘অত্যন্ত সমৃদ্ধ’ খনিজ হিসেবে ধরা হয়।

মাআদেনের প্রধান নির্বাহী রবার্ট উইলে বলেন, “এই আবিষ্কার শুধু সৌদি আরবের জন্য নয়, বৈশ্বিক সোনার মানচিত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এটি মক্কাকে এক নতুন ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থানে নিয়ে যাবে।”

বর্তমানে মানসুরা-মাসারাহ খনিতে আনুমানিক ৭০ লাখ আউন্স সোনা মজুত রয়েছে এবং সেখান থেকে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার আউন্স সোনা উত্তোলন করা হয়। নতুন এই আবিষ্কার উৎপাদন ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌদি শিল্প ও খনিজসম্পদমন্ত্রী বান্দার আলখোরাইফ বলেছেন, “আমাদের খনিজ খাত এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল সেক্টরগুলোর একটি। নতুন এই সোনার খনি আবিষ্কার ভিশন ২০৩০–এর অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের পথে একটি ঐতিহাসিক অর্জন।”

মাআদেন আরও জানিয়েছে, মক্কার নিকটবর্তী ওয়াদি আল-জাও এবং জাবাল শাইবান এলাকাতেও নতুন সোনা ও তামার ভাণ্ডার খুঁজে পাওয়া গেছে। এগুলোর সম্ভাবনাও ব্যাপক এবং ভবিষ্যতে বড় পরিসরে খনন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, এই খনি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং সৌদি আরবে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে। এতে করে দেশটি আন্তর্জাতিক সোনার বাজারে আরও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা মজুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে (৮১৩৩.৫ টন), এরপর রয়েছে জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স এবং রাশিয়া। নতুন এই সৌদি খনি বৈশ্বিক সোনার বাজারে নতুন প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন