চট্টগ্রাম বন্দরসহ তিন টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরের হাতে দেওয়া হবে: নৌসচিব

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ২২:৪৭
চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও কার্যকর ও সক্ষম করতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়ার চর টার্মিনাল এবং ঢাকার পানগাঁও টার্মিনাল ধাপে ধাপে বিদেশি অপারেটরের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ।
রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, "চট্টগ্রাম বন্দর আন্তর্জাতিক মানে নিতে হলে বিদেশি অপারেটরদের সহায়তা নিতে হবে। এনসিটি অক্টোবরেই ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল, কিছুটা সময় লাগছে। পানগাঁও টার্মিনালও ছাড়তে কিছুটা সময় নেওয়া হবে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই তিনটি টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের পরিচালনায় দেওয়া হবে।"
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আপত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “এমন অনেক ক্ষেত্রেই প্রথমে আপত্তি আসে, পরে যখন উন্নয়ন চোখে পড়ে তখন আর কেউ কিছু বলে না।”
নৌসচিব আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩টি গেটের মধ্যে মাত্র ৬টিতে স্ক্যানিং মেশিন আছে, তার মধ্যেও প্রায় অর্ধেক অচল। বন্দরের ভেতরেই কনটেইনার খুলে পণ্য সরবরাহ করতে হচ্ছে— এটি অচল ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেয়। আমরা চাই, বিদেশি অপারেটরের মাধ্যমে এই ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে।”
তিনি বলেন, “বন্দরে যদি দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়, তবে ড্যামারেজ কমবে, সময় বাঁচবে এবং বাড়তি খরচও অর্থবহ হবে।”
অনুষ্ঠানে সমুদ্রগামী জাহাজশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, দেশে জাহাজ পরিচালনায় বিভ্রান্তিকর পতাকা নীতি রয়েছে। সরকারি অর্থে কেনা পণ্য দেশের পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহণের বিধান থাকলেও, ‘সরকারি পতাকা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। এতে দেশীয় বেসরকারি জাহাজ মালিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)-এর চেয়ারম্যান ড. জায়দী সাত্তার। তিনি বলেন, “দেশে জাহাজ ভাঙা ও ছোট জাহাজ নির্মাণ খাত ইতোমধ্যেই বড় জাহাজ নির্মাণের ভিত্তি তৈরি করেছে। বর্তমানে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের জাহাজ রপ্তানির কার্যাদেশ রয়েছে, যা সঠিকভাবে সরবরাহ করতে পারলে এর পরিমাণ দ্বিগুণ করা সম্ভব।”
তিনি প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে নৌশিল্পের জন্য আলাদা আর্থিক কাঠামো গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন
- ১ এনসিপি'র নিশানায় এবার রিজওয়ানা হাসান!
- ২ ফেসবুকে এসে কীসের ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস?
- ৩ পাকিস্তান-আফগানিস্তান -পাল্টা দাবিতে নতুন উত্তেজনা!
- ৪ ‘শিশু নোবেলের’ জন্য মনোনয়ন পেল জামালপুরের তিন কিশোর-কিশোরী
- ৫ চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান দুই টার্মিনাল যাচ্ছে বিদেশিদের হাতে, ডিসেম্বরেই চুক্তি
- ৬ আবুধাবিতে মসজিদ ভ্রমণে জুতার ট্রল, জবাব দিলেন সোনাক্ষী সিনহা
- ৭ দিল্লিতে এবার নারীদের নিয়েই সংবাদ সম্মেলন করলেন আফগান মন্ত্রী
- ৮ প্রথমবার বাংলাদেশে আসছেন জাকির নায়েক
- ১ স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে ধরা পড়ল পরকীয়া, জানালায় উঁকি দিয়েই সব ফাঁস
- ২ অপহরণের মামলায় গ্রেফতার চরমপন্থী নেতা লিপটন
- ৩ স্বর্ণের দাম: কেন বাড়ছে সোনার মূল্য এবং এর পেছনের আসল কারণ
- ৪ বাড়ছে মাতৃত্বকালীন ছুটি, শ্রমিকদের ব্ল্যাক লিস্ট করা যাবে না: শ্রম উপদেষ্টা
- ৫ বিসিবির নতুন পরিচালক রুবাবা দৌলা, বাদ ইসফাক আহসান
- ৬ শক্তিশালী দল নিয়ে ঢাকায় হংকং, ১৩ জনই চাইনিজ লিগের
- ৭ নারী বিশ্বকাপে আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ
- ৮ বিভাগ আন্দোলন নিয়ে এবার কুমিল্লা-নোয়াখালী মুখোমুখি!
- ৯ পুরোনো প্রথাতেই নতুন ২ টিভির লাইসেন্স দিল অন্তর্বর্তী সরকার
- ১০ লাগাম ছাড়া স্বর্ণের বাজার, আবারও ভরিতে বাড়ল ১,৪৬৯ টাকা