০৭ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:৫১

শিরোনাম ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন: ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটার এলাকা স্থানান্তরের সুযোগ Logo ৬৬ দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিলো ইসি Logo ৪১তম বিসিএস উত্তীর্ণ ১৯৩ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগে হাইকোর্টের রায় Logo সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার চেষ্টা, পুলিশের সতর্কবার্তা Logo ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু,হাসপাতালে ভর্তি ১,০৩৪ Logo গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ অনুমোদন Logo জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন Logo ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন Logo

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ অনুমোদন

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১৭:২৩

গুমের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অধ্যাদেশটির মূল দিকগুলো তুলে ধরেন।

প্রেস সচিব জানান, নতুন এই অধ্যাদেশে গুমকে শুধু অপরাধ হিসেবেই নয়, বরং চলমান অপরাধ (continuing offence) হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এতে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া, গোপন আটককেন্দ্র—যা সাধারণভাবে ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত—তার স্থাপন, পরিচালনা বা ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাথমিক তদন্ত ও সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি)।

অধ্যাদেশে বিশেষ গুম প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে, যা অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে বাধ্য থাকবে।

নতুন আইনে ভুক্তভোগী, সাক্ষী ও তথ্যদাতার নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও আইনগত সহায়তার নিশ্চয়তা দেওয়ার বিধান যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য একটি বিশেষ তহবিল এবং তথ্যভান্ডার (ডেটাবেইস) গঠনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেন, “এই অধ্যাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে— গুম প্রতিরোধে শূন্য সহনশীলতা নীতি বাস্তবায়ন, ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর আইনগত কাঠামো তৈরি করা।”

আরও পড়ুন