২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৯:২৫

শিরোনাম পল্লবীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত Logo নারীদের কর্মস্থলে সন্তান নেওয়ার আইনি অধিকার পাবেন Logo বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়া: ভূমি ব্যবস্থাপনায় সমঝোতা স্মারক সই Logo রাজধানীতে বিদ্যুস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু Logo ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৩৫ Logo শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ ঠেকাতে দুই অ্যাপ বন্ধের চিন্তা Logo সাকিবের বিরুদ্ধে অর্থপাচার তদন্তে দুদকের নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ Logo জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ ৫ হাজারেরও বেশি রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়: প্রসিকিউশন Logo

সাবেক আইনমন্ত্রীর পিএসের ১১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ

সাবেক আইনমন্ত্রীর পিএসের ১১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৭:০৯

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক-এর ব্যক্তিগত সহকারী (পূর্বে পিএস) ও বান্ধবী তৌফিকা করিম-এর নামে পরিচালিত ১১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে। সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন। অভিযোগ অনুযায়ী এসব অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেনের পরিমাণ ৬৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার ১৩১ টাকা।

আদালতে উত্থাপিত তথ্যে বলা হয়েছে, তৌফিকা করিম সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ক্ষমতার অপব্যবহার ও পদসামর্থ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন অনৈতিক কৌশলে অর্থ উপার্জন করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে—আদালতে আসামি জামিন, নিয়োগ-বাণিজ্য, বদলির তদবিরসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সম্পদ গড়েছেন।

দুদক বা অভিযোগ সূত্র মতে, ওই ১১৪টি অ্যাকাউন্টে মোট জমা ছিল ৬৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার ১৩১ টাকা, আর উত্তোলন হয়েছে ৫৬৬ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৫ টাকা। অ্যাকাউন্টগুলোতে বর্তমানে ৮৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৬ টাকা জমে আছে।

আদালত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গেছে তিনি সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার করে মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত অপরাধে জড়িত থাকতে পারেন। তাই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ১৪(১) ধারার ভিত্তিতে এসব অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে অবরুদ্ধ (ফ্রিজ/জব্দ) করা জরুরি বলে আদালত নিশ্চিত করেন, যাতে তদন্ত চলাকালীন অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর না করা যায়।

আদালতে সরকারি পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকারী কানের্তব্যে এই আচরণকে “রাষ্ট্রীয় তহবিল ও জনগণের আস্থার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং দ্রুত ও সুষ্ঠু অনুসন্ধানের প্রয়োজনে ওই সব হিসাব জব্দের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তৌফিকা করিম কিংবা তার আইনজীবীর পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তদন্ত সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ও পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আদালত কিংবা তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে আলােচনা বা নোটিশ পাওয়া গেলে আপডেট দেয়া হবে।

আরও পড়ুন