২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৯:২৬

শিরোনাম পল্লবীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত Logo নারীদের কর্মস্থলে সন্তান নেওয়ার আইনি অধিকার পাবেন Logo বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়া: ভূমি ব্যবস্থাপনায় সমঝোতা স্মারক সই Logo রাজধানীতে বিদ্যুস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু Logo ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৩৫ Logo শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ ঠেকাতে দুই অ্যাপ বন্ধের চিন্তা Logo সাকিবের বিরুদ্ধে অর্থপাচার তদন্তে দুদকের নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ Logo জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ ৫ হাজারেরও বেশি রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়: প্রসিকিউশন Logo

শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ ঠেকাতে দুই অ্যাপ বন্ধের চিন্তা

শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ ঠেকাতে দুই অ্যাপ বন্ধের চিন্তা

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৬:৫৪

দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কায় টেলিগ্রাম ও বোটিম অ্যাপ নিয়ন্ত্রণে আসছে সরকার। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুটি অ্যাপ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত শীর্ষ নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক ও নির্দেশনা আদান-প্রদানে এই দুই অ্যাপের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শনাক্ত হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। এর মূল মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে টেলিগ্রাম ও বোটিম অ্যাপ।

সম্প্রতি রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ২৪৪ নেতাকর্মীর মধ্যে দেড় শতাধিকের মোবাইলে এই দুটি অ্যাপ ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে।

সভায় সংশ্লিষ্ট দুই গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি জানান, সারা দেশে এই অ্যাপ ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সক্রিয় করা হচ্ছে, যা নির্বাচনের আগে গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়— আপাতত রাতে অ্যাপ দুটির ডেটা স্পিড স্লো করে দেওয়া হবে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বাংলাদেশে এই দুটি অ্যাপ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

দুই অ্যাপই ভিপিএন ব্যবহার করে সহজে ব্লকড অ্যাপস অ্যাক্সেস করার সুযোগ দেয়, যা অনেক সময় সরকারের নজরদারির বাইরে চলে যায়।

একজন অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা বলেন, "জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কেউ যাতে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি না করতে পারে, সে লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত।"

টেলিগ্রাম ও বোটিম ছাড়াও ভয়েস ও ভিডিও এনক্রিপশন সুবিধা দেওয়া আরও কয়েকটি অ্যাপের ওপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। সাইবার মনিটরিং টিম ও বিটিআরসি এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।

আরও পড়ুন