২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২০:৫৬

শিরোনাম ডেঙ্গুতে একদিনে ৪ জনের মৃত্যু Logo চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামের দুই কনটেইনার গায়েব, তদন্তে দুদক Logo ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিকে হালদারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট Logo মৎস্য সম্পদ রক্ষায় পদক্ষেপ নেবে সরকার Logo কল রেকর্ড ফাঁসের ভয়ে টেলিফোন ধরি না: সিইসি Logo গণমাধ্যম সংস্কারে একটিও সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি: কামাল আহমেদ Logo প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, মনে হচ্ছিল জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনছি: মির্জা ফখরুল Logo রাজনৈতিক দলগুলোকে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আনার দাবি বদিউল আলমের Logo

কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে

কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে

প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৫:৩৭

সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে সুলতানা পারভীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। তাকে একনজর দেখতে আদালত চত্বরে সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন কুড়িগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. বজলুর রশিদ ও অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান দুলু। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম।

২০২০ সালের ১৩ মার্চ রাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানের বাসায় অভিযান চালানো হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তার বাসা থেকে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ ছিল তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, যেখানে জেলা প্রশাসনের একটি পুকুরের নামকরণ ও অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে ডিসি অফিসে এনে তাকে নির্যাতন করা হয় এবং ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কারামুক্ত হওয়ার পর সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা সুলতানা পারভীন আজ স্থায়ী জামিন চেয়ে আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন