০৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ০৭:০০

শিরোনাম বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান: তারেক রহমান Logo প্রাথমিকের বই সঠিক সময়েই পাবে শিক্ষার্থীরা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা Logo নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতেই অমর একুশে বইমেলার তারিখ ঘোষণা Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত Logo ১৬ নভেম্বর শুরু হতে পারে প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন: ইসি সচিব Logo প্রাইজবন্ডের ১২১তম ড্র Logo বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস Logo

শেখ হাসিনা-কামালের নির্দেশেই গণহত্যা: রাজসাক্ষী মামুন

শেখ হাসিনা-কামালের নির্দেশেই গণহত্যা: রাজসাক্ষী মামুন

প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৭:৩৪

জুলাই-আগস্ট মাসে দেশব্যাপী যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সরাসরি নির্দেশে হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বর্তমানে আসামি থেকে রাজসাক্ষীতে পরিণত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন।

জবানবন্দিতে মামুন জানান, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের ফোনকলের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অবস্থান করছিলেন এবং তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার। নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রলয় কুমার তা দ্রুত ডিএমপি কমিশনারসহ সারাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলন দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের প্ররোচনায় ছিলেন কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন—আনিসুল হক, ফজলে নূর তাপস, সালমান এফ রহমান, ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মির্জা আযম, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন।

জবানবন্দির একপর্যায়ে মামুন বলেন, এত বড় গণহত্যা তার দায়িত্বকালেই ঘটেছে, যা তার জন্য লজ্জাজনক ও দুঃখজনক। তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেন এবং দেশবাসী ও নিহত-আহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চান।

সকালে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের পর দুপুরে বিরতি ও বিকেলে পুনরায় জবানবন্দি দেন তিনি। এটি তার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের ১১তম দিন।

প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে এবং এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১০ জুলাই মামুন স্বেচ্ছায় রাজসাক্ষী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

সাক্ষ্যদাতাদের ভাষ্যে উঠে এসেছে, গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সারাদেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ভয়াবহ দমনপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। শহীদ পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন