৩১ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ০৬:৪১

শিরোনাম সারা দেশে এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৪৯ Logo ভোটের মাসে এসএসসি পরীক্ষা: রুটিন নিয়ে সতর্ক করল ইসি Logo চার উপদেষ্টাকে নিয়ে গড়া জনপ্রশাসন কমিটি বাতিল করলো অন্তর্বর্তী সরকার Logo উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বৈষম্য: অর্থনীতি নিয়ে পিআরআই'র সতর্কতা Logo দেশেই পরিবারের বাইরে ঘনিষ্ঠদের দান করা যাবে কিডনি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ: আইন উপদেষ্টা Logo ঐক্যমত না হলে নির্বাচন অনিশ্চিত হতে পারে: মজিবুর রহমান মঞ্জু Logo ইউনেস্কোর সভাপতির দায়িত্ব পালন শুরু করলো বাংলাদেশ Logo ‘শাপলা কলি’ প্রতীক কারও চাপে যুক্ত করা হয়নি: ইসি সচিব Logo

ব্যাংক এশিয়াকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

ব্যাংক এশিয়াকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১৪:৫৯

বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘন ও সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগে ব্যাংক এশিয়াকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তদন্তে দেখা গেছে, ব্যাংকটি তাদের দুই গ্রাহককে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাঠাতে সহায়তা করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ গত ২৪ সেপ্টেম্বর এই জরিমানা ধার্য করে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকটি যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন না করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে অনিয়ম করেছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বৈদেশিক মুদ্রা নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

তদন্তে জানা যায়, ফারহানা করিম এবং আলায়না চৌধুরী নামের দুই গ্রাহক তাদের রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার মার্কিন ডলার বিদেশে স্থানান্তর করেন। এসব অর্থ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বারবার জমা করা হয় এবং উৎস হিসেবে অবৈধ বাজার থেকে আসা টাকার ব্যবহার পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এই দুই গ্রাহক নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা জমা দেন এবং পরে ব্যাংক কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে ব্যয় করেন। একবারে ১০ হাজার ডলারের বেশি বৈধ দেখানোর জন্য তারা ভুয়া ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র ব্যবহার করেন। এমনকি কিছু অর্থ জমা দেওয়া হয়েছে যখন অ্যাকাউন্টধারীরা তখন দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন।

বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ম অনুযায়ী, দেশে ১০ হাজার ডলারের বেশি নগদ অর্থ আনলে তা ৩০ দিনের মধ্যে আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হয়। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, উভয় গ্রাহকই এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি, বরং নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদেশে অর্থ পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক এশিয়ার অবহেলা বা জড়িত থাকা ছাড়া এই ধরনের লেনদেন সম্ভব হতো না। সন্দেহজনক লেনদেন উপেক্ষা করা ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে আমানত গ্রহণ করাকে মানি লন্ডারিংয়ের একটি রূপ বলে মন্তব্য করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “এই ধরনের ঘটনা শুধু ব্যাংকিং খাতের সুশাসনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং জনগণের আস্থাকেও ক্ষুণ্ণ করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও কঠোর তদারকি প্রয়োজন।”

আরও পড়ুন