৩১ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:৫৫

শিরোনাম সারা দেশে এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৪৯ Logo ভোটের মাসে এসএসসি পরীক্ষা: রুটিন নিয়ে সতর্ক করল ইসি Logo চার উপদেষ্টাকে নিয়ে গড়া জনপ্রশাসন কমিটি বাতিল করলো অন্তর্বর্তী সরকার Logo উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বৈষম্য: অর্থনীতি নিয়ে পিআরআই'র সতর্কতা Logo দেশেই পরিবারের বাইরে ঘনিষ্ঠদের দান করা যাবে কিডনি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ: আইন উপদেষ্টা Logo ঐক্যমত না হলে নির্বাচন অনিশ্চিত হতে পারে: মজিবুর রহমান মঞ্জু Logo ইউনেস্কোর সভাপতির দায়িত্ব পালন শুরু করলো বাংলাদেশ Logo ‘শাপলা কলি’ প্রতীক কারও চাপে যুক্ত করা হয়নি: ইসি সচিব Logo

সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি করে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ

সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি করে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ২৩:১০

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের (এনএসসি) সিস্টেমে জালিয়াতি করে সঞ্চয়পত্রের ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বাদী হয়ে বুধবার মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন— মো. আরিফুর রহমান, মোহাম্মদ মারুফ এলাহী, আল আমিন এবং মহিউদ্দিন আহমেদ। তাদের মধ্যে আরিফুর রহমানকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ মারুফ এলাহী এই চক্রের মূল হোতা। তিনি ছাত্রদলের বিগত কমিটির সহসভাপতি এবং এর আগের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তার কোনো পদ নেই বলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন জানিয়েছেন।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, গত সোমবার মহা হিসাব নিরীক্ষণ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার নামে কেনা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে টাকা তোলা হয়। ভুক্তভোগী কর্মকর্তা এস. এম. রেজভী কোনো আবেদন না করলেও, তার নামে তথ্য পরিবর্তন করে এবং মোবাইল নম্বর বদলে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়।

জালিয়াত চক্র প্রথমে গ্রাহকের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে, পরে লেনদেনের সীমা বাড়িয়ে (২ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত) একাধিক ধাপে টাকা তুলে নেয়। আরও দুই ব্যক্তির নামে থাকা ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, এই জালিয়াতিতে ব্যাংকের ভেতরের কেউ জড়িত থাকতে পারেন। কারণ, সঞ্চয়পত্র বিক্রি বা ভাঙানোর জন্য নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে থাকা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই এ টাকা তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “এই জালিয়াতি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হয়েছে। পাসওয়ার্ড ও অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে প্রবেশাধিকার ছাড়া এ ধরনের অর্থ তোলা সম্ভব নয়।”

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিস মিলে প্রায় ১২ হাজার শাখা থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় ও ভাঙানো হয়।

আরও পড়ুন