২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ০৩:৫৪

শিরোনাম আবু বাকের মজুমদারকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা Logo গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত নয়, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও প্রয়োজন: আসিফ নজরুল Logo বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে প্রশংসা আইএমএফের Logo ঢাকার নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্প চূড়ান্ত: রিজওয়ানা Logo বিএসসি-ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দ্বন্দ্বের সমাধান আলোচনার মাধ্যমে Logo শীঘ্রই জাতীয় চিড়িয়াখানায় আসছে নতুন প্রাণী: ফরিদা আখতার Logo হাজিদের ৮ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছি, দুর্নীতি করি নি: ধর্ম উপদেষ্টা Logo ন্যায় ব্যর্থ হলে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে: প্রধান বিচারপতি Logo

‘ঋণের টাকা পরিশোধের চিন্তায় আমাগো ঘুম হারাম হইয়া গেছে’

‘ঋণের টাকা পরিশোধের চিন্তায় আমাগো ঘুম হারাম হইয়া গেছে’

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ২২:২৮

টানা ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষার ও জাটকা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে পটুয়াখালীর জেলেরা আবার নদীতে নামতে শুরু করেছেন। নিষেধাজ্ঞার এই সময় জাল গোছানো ও নৌকা মেরামতের ব্যস্ততায় ছিল জেলেপাড়া।

সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের জেলে কালাম কবিরাজ বলেন, “গ্রামের মানুষের ধাইরদা আমাদের ঋণ আনা। এই ২২ দিন নদীতে মাছ ধরতে পারিনি, কিন্তু কিস্তি ঠিকঠাক দিতে হবে, খুব কষ্টে আছি।”

মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের মো. জসিম জানান, “সরকারের দেওয়া ২৫ কেজি চাউলে আমাদের কিছু হয় না। অনেকেই এক সেরের জায়গায় আধা সের রান্না খেয়েছি এতদিন। দুই লাখ আশি হাজার টাকার ঋণ কিস্তি দিয়েছি, কিন্তু এখন মাছ ধরেও হয়তো দিতে পারব না।”

আরেক জেলে কুদ্দুস খলিফা বলেন, “সব জেলেরা লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। ঋণের চিন্তায় আমাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তবুও নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে জাল ফেলিনি। অবরোধ শেষ, এখন আমরা খুশি।”

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার পূর্বে ৬৯,০৪৩ জন জেলেকে ভিজিএফের চাল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময় মা-ইলিশ রক্ষায় ১৪৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১১১ অসাধু জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “সরকারি নিবন্ধিত ঋণদান সংস্থা ও এনজিও ছাড়া জেলেদের স্থানীয় ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আমরা সতর্ক করি। নিষেধাজ্ঞার সময় স্থানীয় সুদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা ইন্টেরিম সরকারকে জেলেদের জন্য ঋণদানের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছি।”

পটুয়াখালী জেলায় মোট নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা: ৮০,০২০ জন। মধ্যরাত থেকেই পায়রা, তেঁতুলিয়া ও আগুনমুখা নদীসহ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে নামবেন তারা।

আরও পড়ুন