০১ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০২:০৭

শিরোনাম ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট: নির্বাচন কমিশনার Logo হাসিনা পালালেও তাদের নেতাকর্মীদের পাহারা দিচ্ছি: অ্যাটর্নি জেনারেল Logo পনেরো বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না: ধর্ম উপদেষ্টা Logo কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগের ৩ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo চার দিনের সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি Logo ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও পাঁচ শতাধিক রোগী Logo বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা Logo গণভোটের বিষয়টি এখনও কমিশনের নজরে আসেনি: ইসি আনোয়ারুল Logo

ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে পরাশক্তিরা

ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে পরাশক্তিরা

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৮:৫৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৩ বছর পর আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রও ‘সমান ভিত্তিতে’ পরীক্ষায় অংশ নেবে।

ট্রাম্প বলেন, “অন্য দেশগুলো পরীক্ষা চালাচ্ছে। তাই আমি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্রও অবিলম্বে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করবে। এটি আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন।”

রাশিয়ার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তারা জানত না অন্য কোনো দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে এবং আশা করা যায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সঠিকভাবে অবহিত হয়েছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক বিস্ফোরণমূলক পরীক্ষা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে পারমাণবিক ঝুঁকি ইতিমধ্যেই বেড়ে গেছে। নতুন পরীক্ষা ভয়াবহ ভুল হবে।”

১৯৯২ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ.ডব্লিউ. বুশ যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত করেছিলেন। এর আগে ১৯৪৫ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ২ হাজারেরও বেশি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১,০৩২টি, সোভিয়েত ইউনিয়ন ৭১৫টি, ফ্রান্স ২১০টি, ব্রিটেন ও চীন ৪৫টি করে পরীক্ষা চালিয়েছিল।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, পারমাণবিক পরীক্ষার পুনরায় সূচনাকে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন