০১ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০২:১২

শিরোনাম ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট: নির্বাচন কমিশনার Logo হাসিনা পালালেও তাদের নেতাকর্মীদের পাহারা দিচ্ছি: অ্যাটর্নি জেনারেল Logo পনেরো বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না: ধর্ম উপদেষ্টা Logo কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগের ৩ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo চার দিনের সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি Logo ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও পাঁচ শতাধিক রোগী Logo বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা Logo গণভোটের বিষয়টি এখনও কমিশনের নজরে আসেনি: ইসি আনোয়ারুল Logo

শেরপুরে ‘আপু’ সম্বোধনে ক্ষিপ্ত চিকিৎসক, রোগীর বাবাকে বের করে দিলেন রুম থেকে

শেরপুরে ‘আপু’ সম্বোধনে ক্ষিপ্ত চিকিৎসক, রোগীর বাবাকে বের করে দিলেন রুম থেকে

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১:৫৫

‘আপু’ ডাকায় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার মারজিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে রোগীর অভিভাবককে রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগকারী শহরের নয়নী বাজার মহল্লার কাজী মাসুম জানান, দুপুর দুইটার দিকে তিনি তার ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মামিয়ার পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক অনন্যা জরুরি কিছু ওষুধ লিখে দেন। কিন্তু একটি ওষুধ না পেয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পর ফের জরুরি বিভাগে এলে সেখানে নতুন ডিউটিতে আসেন চিকিৎসক মারজিয়া খাতুন।

কাজী মাসুম দাবি করেন, তিনি বিনয়ের সঙ্গে ডাক্তার মারজিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপু আগের ডাক্তার যে ওষুধ দিয়েছিলেন সেটা পাওয়া যাচ্ছে না অন্য কোনো ওষুধ দেওয়া যায় কিনা। তখন আপু শব্দ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে মারজিয়া বলেন আপু বলছেন কেন? আমি মেডিকেল অফিসার, যান বের হয়ে যান। এরপর বারবার ধমক দিয়ে তাদের কক্ষ থেকে বের করে দেন।

ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলে কয়েকজন সংবাদকর্মী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারও সঙ্গে কোনো কথা বলব না।

হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার তাহেরাতুল  আশরাফি বলেন, বিষয়টি শুনেছি, হয়তো ভুলক্রমে তিনি এ কথা বলেছেন। তবে এ বিষয়ে আমাদের অফিসিয়ালি অভিযোগ করতে হবে বা সরাসরি কথা বলতে হবে। শনিবার অফিস খোলার পর বিষয়টি দেখা হবে।

হাসপাতালে উপস্থিত অনেক রোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করেন শুধু মারজিয়াই নন জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসকই রোগী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুন